২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম :

বাজারে রসালো তরমুজ তবে দাম বেশি

কৃষিকাজ ডেস্ক» এই গরমে মৌসুমি ফল রসালো তরমুজ কার না পছন্দ। গরমে এক ফালি তরমুজ প্রাণে এনে দিতে পারে প্রশান্তি। শুধু তাই নয়, তরমুজের শরবতও বেশ জনপ্রিয়। আর সেটা যদি হয় ফ্রিজ থেকে বের করা ঠান্ডা তরমুজের শরবত তাহলেতো কথাই নেই। আর সেই প্রশান্তির তরমুজ এখন রাজধানীর বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে দাম একটু বেশি।

রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিটি মাঝারি আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় এবং বড় আকারের তরমুজ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এজন্য বাজারে তরমুজ কেনার হিড়িক এখনো পড়েনি। মৌসুমের নতুন এ ফল তরমুজ দামে পছন্দ না হলেও শখের বশে কিনছেন অনেকেই। কেউবা আবার বাসার ছোট্ট সোনামনির আবদার রক্ষার জন্য দামের দিকে খেয়াল না করেই বেশি দাম দিয়ে কিনছেন। বাজারে নতুন হওয়ায় এর দাম একটু বেশি বলেই স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর মিরপুরের ফল বিক্রেতা আনিস বলেন, বাজারে তরমুজের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। পুরো মৌসুম আসতে আরও কয়েক দিন বাকি আছে। তখন হয়ত কিছুটা দাম কমতে পারে।

আরেক ফল বিক্রেতা রহিম বলেন, বাজারে সেভাবে তরমুজ এখনো আসেনি। তার উপর ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে তরমুজের বেশ ক্ষতি হচ্ছে। তাই বাজারে দাম বেশি। এখন সব তরমুজ টেকনাফ থেকে আসছে।

রাস্তার পাশের ভ্যানগাড়ি থেকে ছোট সাইজের তরমুজ কিনছেন রেজাউল ইসলাম। তিনি জানান, গ্রীষ্মে রসালো ফল তরমুজ আমার খুব প্রিয়। যদিও এখন এই তরমুজের দাম বেশি হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা।

তিনি বলেন, নতুন তরমুজ বাচ্চারা পছন্দ করবে তাই দাম বেশি হলেও কিনতে হচ্ছে। ছোট আকারের তরমুজ ২৭০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে তাকে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেবে গত বছর দেশে ৪৪ হাজার হেক্টর জমিতে ১৯ লাখ টন তরমুজ উৎপাদিত হয়েছিল। এবার ইতোমধ্যে জেলা পর্যায় থেকে ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদের খবর এসেছে। মৌসুম শেষে পুরো হিসেব পাওয়া যাবে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা চলতি মৌসুমে ২০ হাজার টন তরমুজের উৎপাদন প্রত্যাশা করছেন বলে জানিয়েছেন।

বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, বৃষ্টিতে তরমুজের তেমন ক্ষতি হবে না। কারণ চাষিরা সাধারণ চরের জমিতে তরমুজ চাষ করে থাকেন। সেখানে বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে না। বরং এই বৃষ্টি তরমুজের জন্য আরও ভালো হয়েছে। অনেক চাষি এখন তরমুজের জন্য এক ফুট উঁচু মাচা দেয়। সে খেতগুলো তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আবার অনেক চাষি বেড করে তরমুজ করেন। তাদেরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ, সন্দ্বীপ, নোয়াখালী, ফেনীর বিভিন্ন উপজেলায়, উপকূলীয় ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনায় তরমুজ আবাদ হয়। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদীর চর অঞ্চল ময়মনসিংহ, জামালপুর ও গাইবান্ধার চর অঞ্চলগুলোতে তরমুজ হয়। এছাড়া মেহেরপুর ও পাবনায় তরমুজের উৎপাদন হয়।

।। জাগো নিউজের সৌজন্যে

Share Button