১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম :

মরিচের উন্নত জাত উদ্ভাবন

ডেস্ক রিপোর্ট>> বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ধান, পাট ডাল, সরিষা, বাদাম, টমেটোসহ বিভিন্ন ফসলের একাধিক জাত উদ্ভাবনের পর এবার উদ্ভাবন করেছে নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতের বিনা-মরিচ-১ নামে অধিক ফলনশীল ও তুলনামূলক কম ঝালের মরিচ।

উচ্চ ফলনশীল জাতের এই জাতের মরিচ একইসঙ্গে মসলা, সালাদ ও সবজি হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। এটি আকারে বেশ বড় ও মোটা। প্রতিটি গাছে প্রতিবারে ৩০ থেকে ৩৫টি মরিচ ধরে এভাবে প্রতি মৌসুমে ৮ থেকে ৯ বার ফসল তোলা যাবে। এতে প্রতি হেক্টরে ৩০ থেকে ৩৫ টন মরিচ ফলানো সম্ভব হবে।

ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ড. রফিকুল ইসলাম ২০১২ সালে চীনের একটি স্থানীয় মরিচের জাত থেকে বীজ সংগ্রহ করে ভিয়েনা ও অস্ট্রিয়ায় বিভিন্ন মাত্রায় পরমাণু রেডিয়েশন প্রয়োগ করে দীর্ঘ চার বছর গবেষণা করে এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে এই জাতটি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে দেশের বিভন্ন অঞ্চলে শীত মৌসুমে উদ্ভাবিত জাতের মরিচ চাষ করে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পায়। ফলন পরীক্ষা সন্তোষজনক হওয়ায় বাংলাদেশ বীজ বোর্ড কর্তৃক ২০১৭ সালে বিনামরিচ-১ উচ্চ ফলনশীর জাত হিসেবে চাষাবাদের জন্যে নিবন্ধিত হয়।
বিনা-মরিচ-১ এর উদ্ভাবক বিনার উদ্ভিদতত্ত্ব বিভাগের প্রধান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের প্রচলিত মরিচের জাতের তুলনায় উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে বিনা-মরিচ-১ এর ফলন ১৩০ থেকে ১৪০ শতাংশ বেশি উৎপাদন হবে। প্রতি হেক্টরে এর ফলন হবে ৩০ থেকে ৩৫ মেট্রিক টন। এটি মসলা, সালাদ ও সবজি হিসেবে ব্যবহার উপযুগী। কারণ এটিতে তুলনামূলক ঝাল কম ও সুগন্ধী। পরীক্ষার অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেমন ময়মনসিংহ, ঈশ্বরদী, খাগড়াছড়ি, মাগুরা, রংপুর, বগুড়া ও কুমিল্লা অঞ্চলে কৃষকের মাঠে চাষ করে দেখা গেছে এতে ক্ষতিকারক কোনো পোকা মাকড়ের আক্রমণ ও জটিল কোনো রোগবালাই দেখা যায়নি। এটির উৎপাদন সময় সাধারণত শীতকালে। অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে বীজ বপন করতে হবে এবং মধ্য ডিসেম্বরের মধ্যে এক মাস বয়সি চারা রোপণ করতে হবে। এর চাষের জন্যে বেলে দো-আঁশ মাটি উপযুক্ত।

Share Button