১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম :

বৃষ্টির পানিতে পচছে পেঁয়াজ

অসময়ে ৩ দিনের টানা বৃষ্টি ও নিচু জমির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাজবাড়ীতে আবাদ করা পেঁয়াজ তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপশি জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মসুর ডাল, রসুন ও গমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় ১৪ শতাংশ পেঁয়াজ রাজবাড়ীতে উৎপাদিত হয়। কিন্তু অসময়ের এ বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ক্ষতি হওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় এর প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজের বীজেরও ক্ষতি হবে।

জানা গেছে, গত ২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও অতিবৃষ্টিতে জেলার নিচু জমিতে আবাদ করা পেঁয়াজ তলিয়ে গেছে। জেলার প্রতিটি উপজেলার কম বেশি পেঁয়াজের আবাদ হলেও বালিয়াকান্দি উপজেলায় আবাদী পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক জমিতে এখনও পেঁয়াজ গাছ তলিয়ে আছে।

RAJBARI-PEYAJ--(2)

এছাড়া কালুখালী ও পাংশা উপজেলায় আবাদী পেঁয়াজেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি রসুন, মসুর ডাল ও গমসহ নানা ধরনের শস্যের ক্ষতি হয়েছে। পানিতে মুড় কাটা পেঁয়াজ নষ্ট হবে বলে অনেক কৃষক তা উঠিয়ে নিয়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীতে এ বছর ২৭ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ অবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ২৮ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদরে ১ হাজার ৩৫ হেক্টর, পাংশায় ৬ হাজার ৮৯০ হেক্টর, কালুখালীতে ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর, গোয়ালন্দে ১১০ হেক্টর ও বালিয়াকান্দিতে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া বাকি জমিতে মুড় কাটা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, প্রতি বছর তারা নিচু জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেন, এ বছরও করেছেন। কিন্তু গত সপ্তাহের হঠাৎ বৃষ্টিতে তাদের চাষ করা সব পেঁয়াজ তলিয়ে গেছে। কারণ জমির আশপাশে পানি নিষ্কাশনের খাল থাকলেও বাঁধের কারণে জমির পানি নামতে পারেনি। এতে এখনও পেঁয়াজের খেতে পানি রয়েছে। এভাবে আর কয়েকদিন পানি থাকলে সব পেঁয়াজ গাছ পচে যাবে। তাই অনেকে খেতের পানি নিষ্কাশনের জন্য ইঞ্জিন চালিত মেশিন লাগিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে কৃষি অধিদফতরকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষকরা।

রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুর রহমান জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমিতে জমা পানি দূর করার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া কৃষকেরা জমিতে মেশিন লাগিয়ে পানি দূর করছেন। খালের বিষয়টি দেখার জন্য প্রত্যেক উপজেলা কৃষি অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Share Button