১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম :

ঢাকায় পাহাড়ি আমেজ

কৃষিকাজ ডেস্ক» কেউ বসেছে পাহাড়ি শাকসবজি কেউ ফলমূল নিয়ে। প্রতিটি স্টল বাঁশ দিয়ে তৈরি। স্টলের দোকানিরাও পার্বত্য চট্টগ্রামের। সব মিলে ঢাকায় পাহাড়ি আমেজের তৈরি হয়েছে। আর এই আমেজ রাজধানীর বেইলি রোডের ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে’।

নিরাপত্তা বেষ্টিত আর্চওয়ে গেট দিয়ে মেলায় ঢুকতেই চোখে পড়ে পর্বতের আমেজ। প্রথম স্টলেই চোখে পড়ে পর্বত এলাকার বিন্নি চাল, কাউনের চাল, বাহারি ডাল। ইউএনের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের এই স্টলটিতে প্রদর্শনীর জন্য আরো রয়েছে ডাবসহ বিভিন্ন ফল দিয়ে তৈরি ল্যাম্প।

মেলা প্রাঙ্গণের মাঠের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে পার্বত্য এলাকার দুর্লভ ও আকর্ষণীয় কিছু গাছের চারা। এদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়ি তুলা, শিমুল আর নারিকেল কচু।

এবারের মেলায় সুগারক্রপ নামে একটি ভিন্নধর্মী স্টল বসেছে। বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্টল এটি। স্টলটিতে প্রায় ৪-৫ জাতের আখ বিক্রি করা হচ্ছে।

hill-2

ইনস্টিটিউটের রাঙামাটি উপ-কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইনচার্জ ধনেশ্বর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘প্রদর্শনী ও বিক্রির জন্য প্রায় ৪-৫ জাতের আখ নিয়ে মেলায় এসেছি। আমাদের কাছে চিবিয়ে খাওয়ার জন্য চায়না এবং বিএসআরআই জাতের (রংবিলাস) আখ এবং গুড় তৈরির জন্য ফিলিপাইনের ভিএমসি ৮৫-৫৫০ জাতের আখ রয়েছে। মেলায় আগতরা খুব আগ্রহের সঙ্গে পণ্যগুলো দেখছে। অনেকেই আগ্রহ নিয়ে আখের ভিন্ন ভিন্ন জাত নিয়ে নানা প্রশ্ন করছে।’

hill-3

হিল বাজার নামে মেলার স্টলটি যেন একটি পাহাড়ি বাজার। এখানে নারিকেল কচু, পাহাড়ি বেগুন, দেশি খিরা, বিন্নি চাল, কলা, ওলের কেনাবেচা চলছে। দাম ঢাকার বাজারগুলো থেকে একটু বেশি। তবে শখের বসে অনেককেই এগুলো কিনতে দেখা গেছে। নাজিমউদ্দীন নামে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুনত্বের জন্য বেশি দাম দিয়ে কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’

মেলায় মোট ৬৫টি স্টল রয়েছে। এগুলোতে বান্দরবানের খাবারের সমাহার, শীতের কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে রোববার ১১ ডিসেম্বর থেকে এ মেলা শুরু হয়। চলবে ১৫ দিন পর্যন্ত। এ মেলার আয়োজন করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

hill-4
।। জাগো নিউজের সৌজন্যে

Share Button