১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম :

গাজর চাষে আগ্রহ বেড়েছে নওগাঁয়

ডেস্ক রিপোর্ট» উৎপাদন বেশি এবং ভালো দাম পাওয়ায় নওগাঁর মান্দায় গাজর চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। গাজর চাষে স্বল্প সময় ও কম পরিশ্রমে অধিক লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ৯০০ বিঘা জমিতে গাজর চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে মান্দা উপজেলায় প্রায় ১৫০ বিঘায় এ চাষ হয়েছে। উৎপাদন ভালো হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে। আগামীতে গাজর চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানা গেছে।

উপজেলার কুশুম্বা গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে এলাকার লোকজন গাজর তেমন চিনতোই না। প্রথমে সামান্য জমিতে গাজরের আবাদ করে ভালো ফলন এবং দাম পাই। পরের বছর থেকে আমার দেখাদেখি পার্শ্ববর্তী কৃষকরা গাজর চাষ শুরু করে। পরিশ্রম কম, উৎপাদন ও দাম ভালো পাওয়ায় এলাকার কয়েকশ কৃষক এবার গাজরের আবাদ করছে।

একই গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, এবার তিন বিঘাতে গাজরের আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘা ২০ হাজার টাকা করে বন্ধক (কন্টার্ক) নিয়েছেন। গাজর চাষে প্রতি বিঘায় প্রায় ৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। জমি থেকে গাজর ওঠাতে শ্রমিককে টাকা দিতে হয় না। গরু-ছাগলকে পাতা খাওয়ানোর জন্য অনেকে গাজর তুলে পাতা নিয়ে যায়। এতে শ্রমিক খরচও কিছুটা বেঁচে যায়।

বিলকরিল্যা গ্রামের হাতেম আলী জানান, এবার তার ৮ বিঘা জমিতে প্রায় এক হাজার ২০০ মণ গাজর উৎপাদিত হয়েছে। প্রতি মণ গাজরে প্রায় ৪০০-৫০০ টাকা দাম পেয়েছেন। প্রথম দিকে ৬০০ টাকা মণ বিক্রি হলেও এখন একটু দাম কমেছে।

মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক বলেন, গাজর একটি বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ উচ্চ পুষ্টিমান সবজি। এ উপজেলায় ২১ হেক্টর জমিতে গাজরের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। গাজরের উৎপাদন প্রতি হেক্টরে ১০-১২ মেট্রিকটন হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ জমির গাজর উত্তোলন করা হয়েছে। দাম ভালো থাকায় চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরেও গাজর সরবরাহ করা হচ্ছে।

Share Button