কৃষিকাজ ডেস্ক» বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে শনি ও রোববার ঢাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এ অবস্থায় পিরোজপুর ও আশপাশের অঞ্চলের মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরের পর থেকে উপকূলজুড়ে হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় উঠতি পাকা-আধাপাকা আমন ধানের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। অসময়ে বৃষ্টিতে হাজার হাজার একর জমির কৃষি নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা।
ভুক্তভোগী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পিরোজপুর জেলাসহ উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা ও পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় সব জেলায় এখন মরিচসহ বিভিন্ন প্রাকারের শাক-সবজি ঘরে তোলার সময়। বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে মরিচসহ শাক চাষিদের।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী নিম্নচাপের ফলে যদি ঝড়ো বৃষ্টি বা বাতাস হয় তাহলে আমন ধানের যে ক্ষতি তা পুষিয়ে নেয়া কৃষকদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
এ প্রসঙ্গে মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের বড় শৌলা গ্রামের কৃষক সুলতান হাওলাদার বলেন, জমির ধান এখন পাকা শুরু করেছে। ধান গাছের মাথা এখন ভারি হয়ে গেছে। একটু বাতাস হলেই জমিতে শুয়ে পড়বে। আর তা হলে উঠতি আমন ধানের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে ভান্ডারিয়া উপজেলার পশারিবুনিয়া গ্রামের বর্গাচাষি শাহ আলম শিকদার বলেন, অগ্রহায়ণ-পৌষ মাস আসলেই ঝড়-বৃষ্টি হয়। এ মুহূর্তে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টি শুরু হলে সব ধান মাটিতে শুয়ে পড়বে। সেই সঙ্গে নষ্ট হবে অনেক কৃষি।