বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ঝালকাঠির কৃষকরা। কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বীজতলার চারা উত্তোলন, জমি তৈরি ও রোপণের কাজ করছেন তারা। তবে এসব কাজে জেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো প্রকার পরামর্শ বা সাহায্য পাচ্ছেন না বলে অভেযোগ কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে যেখানে শুধুমাত্র বোরো আবাদ হয়ে থাকে। বছরের অন্য সময় জলাবদ্ধ থাকার কারণে এসব জমিতে অন্য কোনো ফসল হয় না।
নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের লক্ষনকাঠি গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, গত বছর যে বীজ ধানের কেজি ছিল ৫০০ টাকা সেটা এ বছর আমাদের ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায় কিনতে হয়েছে।
সদর উপজেলার সাবাঙ্গল এলাকার কৃষক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ঝালকাঠি বিএডিসি অফিসে বোরো বীজ আনতে গেলে তারা ফরিদপুর থেকে আনা ১০ কেজির ১২টি প্যাকেটের ৬ হাজার টাকা দাম রাখেন। কিন্তু বীজতলায় বোনার পর সেসব বীজের অঙ্কুরোদগম হয়নি। পরে অন্য বীজতলা থেকে চড়া দামে চারা কিনে রোপন করতে হচ্ছে। এতে খরচ অনেক বেশি পড়ে গেছে। বাকি খরচের দিনতো সামনে পড়ে আছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক বলেন, এ বছর কৃষকদের মধ্যে যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তাতে বিগত ১০ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের আবাদ হবে। আমরা সব সময় কৃষদের পাশে থেকে তাদের পরামর্শ দিচ্ছি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিটি ব্লকে গিয়ে কৃষকদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।