২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং, ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম :

পাহাড়ে আদা চাষে বাম্পার ফলন

কৃষিকাজ ডেস্কঃঃ চলতি বছর রাঙামাটির পাহাড়ে আদা চাষের বাম্পার ফলন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, অর্থকরী ফসল হিসেবে কৃষকদের মধ্যে আদা চাষের আগ্রহ ছিল, ফলে তারা রাঙামাটিসহ পার্বত্য অঞ্চলের ১০টি উপজেলায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশি আদা চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। রাঙামাটির কাপ্তাই এবং রাজস্থলীতে আদার চাষ বেশি হয়েছে। কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কাপ্তাইয়ের ওয়াগগা ও কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎপাদিত আদা বাজারে বিক্রির জন্য কৃষকেরা নিয়ে এসেছে। এমনই এক আদাচাষি মিনাক্ষি চাকমা বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার পাহাড়ে ভালো আদা চাষ হয়েছে। শুধু তাই নয়, মন প্রতি আদা ২-৩ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।’ কাপ্তাই উপজেলার সাপছড়ি গ্রামের আদা চাষি দয়া রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘৮ কানি জমিতে প্রায় দেড় মন আদার চারা রোপণ করেছিলাম। সেখান থেকে প্রায় ৮ মন আদা পেয়েছি। আদা বিক্রি করে ভালো দামও পেয়েছি।’
রাঙামাটি কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাঙামাটি জেলায় ২৮০০ হেক্টর জমিতে আদা চাষ হয়েছে। আদা উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল হেক্টর প্রতি ১৩ মেট্রিক টন। এই হিসাব অনুযায়ী ৩৬,৪০০ মেট্রিক টন আদা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। সাধারণত পার্বত্য চট্টগ্রামে দুই জাতের আদা চাষ করা হয়। এর মধ্যে স্থানীয় এবং থাইল্যান্ডের আদার জাত রয়েছে। তবে থাই জাতের আদার চাষ বেশি করা হয় কাপ্তাই উপজেলায়। এই জাতের আদা আকারে বড় হয়ে থাকে।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক তরুণ ভট্টাচার্য্য জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রাঙামাটি জেলার মধ্যে কাপ্তাই ও কাউখালীতে আদার ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু কিছু জায়গায় আদার পচন হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে কৃষকরা আদার চারা রোপণের সময় বিষশোধন করেনি। আদা চাষ করতে হলে কৃষককে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরামর্শ নিয়ে পচন প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বাজারে আদার মূল্য ওঠানামার জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন। নইলে আদার বাজার অস্থিতিশীল হবে, তখন কৃষক নায্যমূল্য পাবে না।
|| রাইজিংবিডি ডট কম

Share Button