ডেস্ক রিপোর্ট» মৌলিক অধিকার হিসেবে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ণ এখন সময়ের দাবি। এ আইনে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও প্রান্তিক কৃষক তথা নারী কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ২য় জাতীয় নারী কৃষক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
‘নারী কৃষকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সুরক্ষা-জয় করবে ক্ষুধা ও অসমতা’ স্লোগানে নারী কৃষক সম্মেলনের আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সার্বিক প্রেক্ষাপটে নারী কৃষকদের অধিকারহীনতা থেকে রক্ষা করা না গেলে রাষ্ট্রীয় নীতি ও আর্থিক সহায়তাসহ অন্যান্য অধিকার ও সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিতই থেকে যাবে। ফলে ৬৮.১ শতাংশ নারী কৃষক ও ক্ষেতমজুরকে বাদ দিয়ে দেশে খাদ্যনিরাপত্তা কোনো ভাবেই নিশ্চিত বা দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব হবে না।
বক্তারা আরো বলেন, কৃষিতে কর্মরত নারীদের কৃষক হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিতের পাশাপাশি নারী কৃষদের জন্য ভূমি অধিকারসহ আনুষঙ্গিক রাষ্ট্রীয় সহায়তা দরকার।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মেরিনা যুথী। তিনি বলেন, বিবিএসের তথ্য অনুসারে ৬৮ দশমিক ১ শতাংশ নারী পশু পালন, স্থানীয় জাতের বীজ সংরক্ষণ, শাকসবজি উৎপাদনে জড়িত। এসব কাজের বিনিময়ে উপার্জন তো দূরের কথা রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতিও নেই তাদের।
নারী কৃষক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা, অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডাইরেক্টর ফারাহ কবির, অ্যাকশন এইডের সাধারণ পরিষদের সদস্য প্রফেসর খলিলুর রহমান প্রমুখ।