ক্যাম্পাস ডেস্ক» টার্কি মুরগি বিদেশি পাখি হলেও দেশে ক্রমেই এর চাহিদা বাড়ছে। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় টার্কি পাখি চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চলেছেন দেলোয়ার হোসেন। ৬ হাজার টাকা দিয়ে মাত্র ২টি মুরগি কিনে চাষ শুরু করেন তিনি। এক বছরের মাথায় এখন তার খামারে টার্কির সংখ্যা প্রায় ২ শতাধিক, যার দাম ৭ লক্ষাধিক টাকা। সুস্বাদু এ পাখির মাংস, পাখি, ডিম ও বাচ্চা কিনতে দেলোয়ারের খামারে এখন ভিড় করছেন অনেকেই।
একেকটি টার্কির ওজন কমপক্ষে ৭ কেজি হয়। একজোড়া টার্কি বিক্রি হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায়। দেলোয়ারের দেখাদেখি এলাকায় গড়ে উঠেছে আরো কয়েকটি খামার। এতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুব উন্নয়ন অফিস আর দেখভাল করছে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
জানা যায়, ছয় মাসের মধ্যে ডিম দেয় টার্কি মুরগি। বছরে ২৩০টার বেশি ডিম দেয়। ছয় মাসের মেয়ে টার্কির ওজন হয় পাঁচ থেকে ছয় কেজি। আর পুরুষগুলোর প্রায় আট কেজি। মুরগির মাংসের মতো করেই টার্কি রান্না করা হয়। রোস্ট ও কাবাবও করা যায়।
দেলোয়ার হোসেন জানান, বছর শেষ না হতেই তার হাতে এখন ৭ লাখ টাকার পুঁজি। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। তার কাছ থেকে বাচ্চা নিয়ে অনেক শৌখিন খামারি ছোট আকারে টার্কি পালন শুরু করেছেন। তার দেখাদেখি শৈলকুপার বাগুটিয়া, সাধুহাটি, মজুমদারপাড়া, গোবিন্দপুরে গড়ে উঠেছে টার্কি ফার্ম।
শৈলকুপার সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাসুদুর রশিদ জানান, টার্কির মাংসে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য গুণাগুণ বিদ্যমান। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে এবং চর্বি অনেক কম।