প্রজাতি:
ভারতে এল সেন্ট্রো, ডি সিক্কো, প্রিমিয়াম ক্রস, গ্রিন কমেট ইত্যাদি জাতের ব্রোকলি পাওয়া যায়।
চাষের সময়: আশ্বিন-অগ্রহায়ণ (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) চাষের সময়।
বীজ থেকে চারা তৈরি:
বীজ থেকে চারা তৈরি করে মূল টবে লাগাতে হবে। বীজ গজাতে সময় লাগে ৩/৪ দিন। ৮/৯ দিন বয়সের চারা তুলে অল্প দূরত্বে আরেকটি বীজতলার টবে লাগাতে পারলে শক্তিশালী চারা পাওয়া যাবে।
সার ও মাটি:
গোবর, টিএসপি ও খইল দিয়ে সার-মাটি তৈরি করতে হবে। মনে রাখতে হবে মাটি সব সময় নরম তুলতুলে থাকলে গাছ তাড়াতাড়ি বাড়ে।
চারা রোপণ:
৩/৪ সপ্তাহের সুস্থ চারা সার-মাটি ভরা টবে লাগতে হবে। চারা লাগাতে হবে বিকাল বেলাতে। চারা লাগানোর পর গোড়ায় মাটি খুব হালকা করে চেপে দিতে হবে। কেননা জোরে চাপ দিলে নরম শিকড় ছিঁড়ে যেতে পারে।
পরিচর্যা:
ব্রোকলির চারা লাগানোর প্রথম ৩/৪ দিন চারাকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে
চারা না লেগে যাওয়া পর্যন্ত সকাল-বিকাল জল দিতে হবে। চারা লেগে গেলে মাঝে মাঝে মাটি একটু খুঁচিয়ে দিতে হবে এবং ২/১ দিন পর পর সেচ দিতে হবে। গাছ একটু বড় হলে ১৫ দিন পরপর তরল সার বা পাতার সার দিলে ভাল হয়। পরে গোড়ার মাটি চারদিক থেকে তুলে দিতে হবে এবং টবের কিনার বরাবর সেচ দিতে হবে।
ক্ষতিকর পোকা:
শুঁয়ো পোকা ও জাব পোকা ব্রোকলির ক্ষতি করে।
প্রতিকার:
জাব পোকা বেশি হলে কীটনাশক দিতে হবে৷ যে কোনও রাসায়নিক সারের দোকানে গেলেই তারা বলে দেবে৷ যদি শুঁয়ো পোকা এবং জাব পোকা একসঙ্গে আক্রমণ করে তাহলে নাইট্রো ওষুধ স্প্রে করা যেতে পারে।
ফসল সংগ্রহ:
ব্রোকলির চারা রোপণের পর ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাসের মধ্যে সবজিটি খাবার উপযোগী হয়। ব্রোকলির কাণ্ডের শাঁস খুব নরম হয় বলে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। ফুল ২/৩ সপ্তাহ হলে খাওয়ার উপযোগী হয়। ফসল সংগ্রহের সময় প্রথমে উপরের ফুলটি কেটে নিয়ে গাছটি বাড়তে দিলে নিচের পাতার গোড়া থেকে আবার ফুল বের হবে যা পরবর্তীতে সময়মত সংগ্রহ করা যাবে।